লেখক: গী দ্য মোপাঁসাঁ
ভাবানুবাদ: কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়
পারীর উপকণ্ঠে যে মানসিক হাসপাতালটা রয়েছে, তার ডাক্তার আমার বন্ধু। প্রায়ই আমাকে যেতে বলে। কিন্তু সময় সুযোগ করে কিছুতেই যাওয়া আর হয়ে ওঠে না। ডাক্তার দেখা হলেই এ নিয়ে অনুযোগ করে। বলে, সুস্হ মানুষ নিয়েই তো লিখলে এতকাল। এসো না, আমার ওখানে। দেখবে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষও কেমন চমৎকার তোমার গল্পের প্লট যোগাতে পারে।
শেষে আর অনুরোধ ঠেলতে পারলাম না। একদিন সকাল সকাল হাজির হলাম ওখানে!
ডাক্তার তো আমাকে দেখে মহা খুশি। খাইয়ে দাইয়ে আমাকে নিয়ে বেরলো হাসপাতাল ঘুরিয়ে দেখাতে।
সে এক বড় বিচিত্র জায়গা। রাস্তাঘাটে পাগলটাগল দু’একটা দেখেছি, কিন্তু একসঙ্গে এতরকম বিচিত্র পাগলের সমাবেশ! হলপ করে বলছি, আমি কেন, আমার উর্দ্ধতন চৌদ্দপুরুষের কেউ দেখেছেন কিনা সন্দেহ। কেউ হাসছে, কেউ কাঁদছে, কেউ পরিত্রাহি চেঁচাচ্ছে, কেউ বা আবার গালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে আছে।
এইসব দেখতে দেখতে চলেছি। হঠাৎ কানে এল - “আঃ, মানিক আমার, আয়।”
তাকিয়ে দেখি একটা লম্বা রোগা চেহারার লোক কথাগুলো বলে চলেছে। ডাক্তার নিচু গলায় বললে, ও হল ফ্রান্সিস। ওর পোষা কুকুরকে ডাকছে। বদ্ধ উন্মাদ।
আমি কৌতুহলী হই - মানে -
-- মানে, কোকোতি নামে ওর একটা মাদী কুকুর ছিল। সেটা মারা যাবার পরেই ওর মাথায় গোলমাল দেখা দেয়।
ইন্টারেস্টিং!
আমার কৌতূহল দেখে ডাক্তার হেসে ফেললো। - প্লট খুঁজছো? ঘটনাটা বলছি। দেখো গপ্পো হয়েও যেতে পারে।
ডাক্তার এরপর আমাকে ঘটনাটা বললো। সেটা যেমন চমকপ্রদ তেমনই করুণ। সেটাই আপনাদের সামনে নিজের ভাষায় তুলে দিলাম।
************
সীন নদীর ধারে যেসব পশ্ বাংলোগুলো দেখে আপনাদের চোখ জুড়িয়ে যায়, তারই একটাতে ফ্রান্সিস ছিল কোচোয়ান। সাদাসিধে গ্রাম্য সরল ছেলে। মনের মধ্যে কোনও প্যাঁচ নেই। মুখে সর্বদাই হাসি লেগে রয়েছে।
একদিন নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছে সে। ফুরফুরে হাওয়ায় প্রাণমন জুড়িয়ে যায়। সেই আরামে বসে থাকতে থাকতে কখন যে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে, তা সে খেয়ালই করেনি। খেয়াল যখন হলো তখন সীনের দু’পারে আলোকমালা জ্বলতে শুরু করেছে।
ফ্রান্সিস তাড়াতাড়ি বাড়ির পথ ধরলো। মালকিন আবার আটটার পরে আজ বেরোবেন। সুতরাং একটু পা চালিয়ে যেতেই হবে তাকে।
কিছুদূর যাবার পরে ফ্রান্সিসের মনে হলো কেউ যেন তাকে অনুসরণ করছে। পেছন ফিরে দেখে অনুসরণকারী আর কেউ নয় - একটা কুকুর। কতকাল খেতে পায়নি কে জানে! পাঁজরাগুলো গোনা যাচ্ছে। ফ্রান্সিসকে দাঁড়াতে দেখে ওটা কাছে এগিয়ে এসে ল্যাজ নাড়তে লাগলো।
কুকুর-টুকুর ফ্রান্সিস খুব একটা পছন্দ করে না। তার ওপর আবার নেড়ীকুত্তা। “হ্যাট, হ্যাট” করে মারবার ভঙ্গিতে হাত তুললে সে।
কুকুরটা একটু পিছিয়ে গেলো। কিন্তু পালালো না। বরং ফ্রান্সিস হাঁটতে আরম্ভ করলে আবার সে তার পিছু নিলো।
এতো আচ্ছা আপদ! তাড়ালেও যায় না। ফ্রান্সিস সাত-পাঁচ না ভেবেই একটা ইটের টুকরো ছুঁড়ল কুকুরটার দিকে।
এবার একটু ভয় পেলো কুকুরটা। লাফ মেরে ইঁটটাকে এড়িয়ে গেলো। কিন্তু পালালো না। মিনিট কুড়ি এভাবে চললো।
ফ্রান্সিস ইঁট তোলে আর কুকুরটা পেছোয়। কিন্তু যেই ও হাঁটতে আরম্ভ করে আবার পিছু নেওয়া শুরু হয়।
কাঁহাতক আর নির্দয় হওয়া যায় একটা অসহায় জীবের প্রতি। ফ্রান্সিস পারলো না। শেষমেস “আঃ, তু তু” বলে ডেকেই ফেললো। কুকুরটা এই আমন্ত্রণ পেয়ে একটু চমকে গেল। কিন্তু সে চমকানো সাময়িক। তারপরই ল্যাজ নাড়তে নাড়তে ফ্রান্সিসের কাছে চলে এলো। মুখ ঘষতে লাগলো ওর জুতোয়। হাড় জিরজিরে শরীরটার ওপর হাত বোলাতে বোলাতে ফ্রান্সিস বলল, চল আমার সঙ্গে।
সোজা মালিকের বাড়িতে গিয়ে উঠল কুকুরটাকে নিয়ে। আস্তাবলে খড়কুটো দিয়ে তার থাকবার মতো একটা জায়গাও করে দিলো। রান্নাঘরে ছিল কিছু পোড়ারুটি। খেতে দিলো তাকে। কুকুরটা খেয়ে দেয়ে দিব্যি ঘুম লাগালো।
পরদিন সকালে মালিকের কানে গেলো খবরটা। মানুষ হিসেবে তিনি সত্যিই ভদ্রলোক। সঙ্গে সঙ্গে কুকুরটার থাকার অনুমতি মিলে গেলো।
ফ্রান্সিস তার নাম রাখলো কোকোতি। কুকুরটা হয়ে উঠলো তার প্রাণ। একটা গলাবন্ধনী কিনলে সে তার জন্য। গলায় পরিয়ে দিলে। সারাদিন কোকোতি তার পিছু পিছু ঘুরতো। লোকে আড়ালে হেসে বলতে শুরু করল -”মানিকজোড়”।
ভালো খাওয়া দাওয়া পেয়ে আস্তে আস্তে কোকোতির চেহারা খুলে গেলো। কোথায় গেলো সেই হাড় বার করা রোগা ডিগডিগে শরীর। দিনে দিনে সে দিব্যি মোটাসোটা নাদুসনুদুস হয়ে উঠলো।
কিন্তু এর পরেই শুরু হলো অন্য জ্বালাতন। এলাকার যত কুকুর ছিলো সবকটার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতালো সে। বাড়িতে, রাস্তায় কুকুরে কুকুরে ছয়লাপ হয়ে গেল। কোকোতি যখন বেরোত একপাল কুকুর চলতো তার পিছু পিছু। সেও সম্রাজ্ঞীর মতো ঘাড় উঁচু করে স্টাইল মেরে রাস্তায় হাঁটতো। আর কুকুরের দল তার সঙ্গ পাবার জন্য নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু করে দিত।
এইরকম ভাবেই চলছিলো। কিন্তু দিনে দিনে কোকোতির বন্ধুবান্ধবদের অত্যাচারের মাত্রা বাড়ল বই কমল না। মালী আর রাঁধুনী প্রথমে কোকোতির প্রতি দয়াবশত মালিকের কাছে কিছুই বলেনি। কিন্তু তারাও তো মানুষ। সর্বক্ষণ এক পল্টন কুকুরের অত্যাচার কাঁহাতক সওয়া যায়।
শেষমেস একদিন বাধ্য হয়েই তারা নালিশ করলো। মালিক সব শুনে ডেকে পাঠালেন ফ্রান্সিসকে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন কোকোতির আর এই বাড়ীতে স্হান হবে না।
হুকুম শুনে বেচারা ফ্রান্সিস চেষ্টা করলে কোকোতিকে অন্য কাউকে দেওয়ার। কিন্তু কে নেবে তাকে! তার সঙ্গে যে একপাল কুকুরের অত্যাচারও সহ্য করতে হবে! সেজন্য সবাই মুখ ফেরালে।
ফ্রান্সিস তখন নিরুপায়। লে-পঁ তে ছেড়ে দিয়ে এলে কোকোতিকে।
কিন্তু সেই সন্ধ্যা বেলাতেই ল্যাজ নাড়তে নাড়তে ফিরে এলো কোকোতি।
এক রাঁধুনি হাডরে যাচ্ছিলো। পাঁচ ফ্রাঁ দিয়ে তাকে কোনমতে রাজী করানো হলো যাতে সে ট্রেনে করে তাকে নিয়ে গিয়ে হাডরেতে ছেড়ে দেয়।
কিন্তু ছাড়লে কী হবে? তিনদিনের মাথায় কোকোতি আবার ফিরে এলো। পথশ্রমে জিভ বেরিয়ে গেছে তার। মালিকের দয়া হল এবার। আপাতত ফাঁড়া কাটলো বটে কোকোতির কিন্তু ওর বন্ধুবান্ধবরা কি অত সহজে ছেড়ে দেবে ওকে না কোকোতিই ওদের ছেড়ে থাকতে পারে? দু-একদিন বোধহয় লজ্জা কাটাতে গেলো। তারপরই আবার কুকুরে কুকুরে বাড়ি ছয়লাপ। ওদের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়িতে কানপাতা দায়।
মালিক এবার ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন। ফ্রান্সিসকে ডেকে বলে দিলেন, হয় সে থাকবে নয়তো কোকোতি। দুজনকে আর একসঙ্গে পুষতে পারবেন না তিনি।
মনের দুঃখে প্রথমে ফ্রান্সিস ভাবলো এ বাড়ি ছেড়ে সে চলে যাবে। সেইমতো বাক্সপ্যাঁটরা গোছাতে লাগলে। কিন্তু তারপরই অন্য একটা চিন্তা মাথায় এলো তার। কোথায় যাবে সে? তিনকূলে তো তার কেউ নেই। মা-বাবা কবেই মরে গেছে। লেখাপড়াও তো কিছু শেখেনি যে এতবড় শহরে একটা চাকরি জোটাবে। তার ওপর তার মনিব তো খারাপ লোক নন। বরং এতকাল ধরে তাকে যথেষ্ট আদর-যত্নেই রেখেছেন। এখন তাঁকে সে ছেড়ে চলে যাবে নিছক একটা রাস্তার কুকুরের জন্য!
না, এটা সে করতে পারবে না। কখনোই না।
সারারাত দু’চোখের পাতা এক করতে পারল না ফ্রান্সিস। চিন্তাটা যেন তাকে কুরে কুরে খেতে লাগলো। চোখ বুজলেই মনের পর্দায় ভেসে উঠতে লাগলো কোকোতির করুণ মুখটা।
ভোর হয়ে এসেছে।
ফ্রান্সিস উঠে পড়লো। খুঁজে পেতে একটা শক্ত দড়ি বার করলে। তারপর চললো কোকোতির সন্ধানে।
কোকোতি ঘুমাচ্ছিল আস্তাবলেই। ফ্রান্সিসকে আসতে দেখেই ল্যাজ নাড়তে নাড়তে তার কাছে ছুটে এলো। দু পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আদর করতে লাগালো তাকে। ফ্রান্সিসও কোকোতির ঘাড়ে, শরীরে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
কতক্ষণ এভাবে কেটে গেছে তা ফ্রান্সিসের খেয়াল নেই। চমকটা ভাঙলো মোরগের ডাকে। তাইতো, সকাল হলো বলে, যা করবার এক্ষুণি করতে হবে।
-- চল আমার সঙ্গে।
বিনা দ্বিধায় কোকোতি লাফাতে লাফাতে চললো ফ্রান্সিসের সঙ্গে। ভাবলো সকাল সকাল বুঝি বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে।
অত ভোরে পথঘাটে লোকজন কেউ নেই। সীনের ধারে যখন ফ্রান্সিস এসে পৌছল তখনও চারিদিক নিঃঝুম। জায়গাটা নদীর চেয়ে বেশ উঁচুতে। নিচে শান্ত সীন বয়ে চলেছে। আবছা কুয়াশা ঢেকে রেখেছে অপর পারের গাছপালাগুলোকে।
কোকোতির গলাবন্ধনীর সঙ্গে দড়িটার একপ্রান্ত বাঁধলে ফ্রান্সিস। অন্যপ্রান্ত বাঁধলে একটা ভারী পাথরের সঙ্গে। তারপর কোলে তুলে নিলে কোকোতিকে। কোকোতি কিন্তু এতটুকু সন্দেহ করেনি। বরং এতক্ষণ পরম কৌতূহলভরে মনিবের কাজকর্ম দেখছিলো। এখন যেই তাকে কোলে তোলা হল অমনি তাকে আদর করা হচ্ছে ভেবে গলা দিয়ে ঘড়ঘড় শব্দ করতে লাগলে সে।
ফ্রান্সিস এদিকে বিষম সমস্যায় পড়েছে। যতবারই সে কোকোতিকে ফেলতে যায় ততবারই তার এক মন তাকে বলে, “এ কী করছো ফ্রান্সিস? কোকোতিকে না তুমি ভালবাস? যাকে ভালবাস তাকে এমনভাবে ডুবিয়ে মারতে চাও?” অন্য মন এদিকে তাকে তিরস্কার করে। বলে, “কি করছো ফ্রান্সিস? অযথা দেরি করছো কেন? কী লাভ দেরি করে? অপ্রিয় কর্তব্য যত তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা যায় ততই ভাল।”
বারবার দশবার কোকোতিকে ফেলতে গিয়েও ফেলতে পারলো না ফ্রান্সিস। এগারোবারের পর কী যেন হয়ে গেল হঠাৎ সে বুঝতে পারলো কোকোতি আর তার কোলে নেই। বহু নিচে বয়ে যাওয়া সীন নদীতে সে। ঘড়ঘড় শব্দ করে পাথরটাও ঝাঁপ দিল নদীর বুকে।
প্রথমে কোকোতি চেষ্টা করল সাঁতরাতে। এমন অনেকবার সে সীনে সাঁতার কেটেছে। কিন্তু আজ সে পারল না। ভারী পাথরটা তাকে টানতে লাগলো নদীগর্ভের দিকে। মনিবের দিকে করুণ নয়নে তাকালো সে। ফ্রান্সিসের মনে হলো ডুবে যেতে যেতে সেই করুণ চোখদুটো যেন তার বিশ্বাসঘাতকতার, তার নীচতার প্রতি এক নীরব ধিক্কার জানিয়ে গেল।
জলের ওপরে কয়েক মিনিট ধরে বুদ্বুদ উঠলো। তারপর সব শান্ত। সীন আবার শান্তভাবে বইতে শুরু করলো। এদিকে লাল হয়ে এলো পুবের আকাশ।
এই ঘটনার পরে ফ্রান্সিস যেন কেমন হয়ে গেলো। কোনকিছু খেতে চাইতো না। কারো সঙ্গে কোন কথাও বলতো না। শুধু সময় পেলেই চুপচাপ বসে থাকতো নদীর ধারে।
মালিক তার মনের অবস্হা বুঝতেন। তিনি ভাবলেন মাসকয়েকের জন্যে অন্য কোথাও গিয়ে থাকলে ফ্রান্সিসের ভালো হবে। তিনি তাই সপরিবারে তাঁর রোয়েনের বাগান বাড়িতে চলে এলেন।
এখানেও সীন বয়ে চলেছে বাড়িটির পাশ দিয়ে। সহিসের সঙ্গে আগে থেকেই বেশ ভাব ছিল ফ্রান্সিসের। এখানে তার সঙ্গেই রোজ নদীতে স্নান করতে যেতো সে। জলের বুকে অনেকক্ষণ দাপাদাপি করে তবে দু’জনে ফিরতো।
আস্তে আস্তে ভাল হয়ে আসছিল ফ্রান্সিস। মালিকও তাকে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
কিন্তু বিধি বাম। একটা ছোট্ট ঘটনা ফ্রান্সিসের সারা জীবনটাকে চুরমার করে দিলো। সেদিন ফ্রান্সিস সাঁতরাতে সাঁতরাতে প্রায় মাঝনদীতে চলে এসেছে। এমন সময় দেখতে পেলে একটা মরা জন্তুর দেহ ভাসতে ভাসতে তার দিকেই আসছে।
প্রথমে সে আদৌ মনোযোগ দেয়নি সেটার প্রতি। প্রতিদিনই তো কত মরা জীবজন্তু ভেসে আসে নদীর বুকে, এতে আর আশ্চর্যের কি আছে।
এটার ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হতো। কিন্ত মৃতদেহটা একটা ছোট্ট ঢেউ-এর ধাক্কায় ফ্রান্সিসের কাছাকাছি চলে এলো। একটা কুকুরের মৃতদেহ। বেশ বড় কুকুর। বোধ হয় মাদী হবে। কিভাবে মরল......
হঠাৎ ফ্রান্সিস চমকে উঠল কুকুরটার গলাবন্ধনীর দিকে তাকিয়ে - যেন ইলেকট্রিক শক খেয়েছে। কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে না ওটা। তবে কী......
কোনোরকমে গলাবন্ধনীটা খুলে নিয়ে জলের ওপরে তুললো সে। দুপুরের রৌদ্রোজ্জ্বল আলোকে স্পষ্ট দেখলে তাতে লেখা আছে -- ‘কোচোয়ান ফ্রান্সিসের আদরের কোকোতি।’
একটা অশরীরী চিৎকার বেরিয়ে এল ফ্রান্সিসের গলা দিয়ে। সমস্ত শক্তি দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠল। তখন তার শরীরে পোশাক নেই। নগ্ন অবস্থাতেই দৌড়তে শুরু করল সে।
শেষ
No comments:
Post a Comment